শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

বিসিএসের প্রথম ধাপটা যেভাবে শুরু করবেন


বিসিএসে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী বাদ পড়ে প্রিলিমিনারি পর্ব থেকে। ৩৭তম বিসিএসের প্রিলির প্রস্তুতি নিয়ে ছয় পর্বের ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব। পরামর্শ দিয়েছেন ৩০তম বিসিএসে প্রথম সুশান্ত পাল
৩৬তম বিসিএসে প্রশ্ন ছিল ট্র্যাডিশনাল ধাঁচের। বেসিক যেমনই হোক, যারা যত বেশি প্রশ্ন পড়ে গেছে, তাদের পক্ষে এ পরীক্ষায় ফেল করা তত বেশি কঠিন ছিল বটে! যদিও ৩৫তম বিসিএসের প্রশ্ন ছিল আমার দৃষ্টিতে এ যাবত্কালের সবচেয়ে কঠিন। ওই বিসিএস দিলে কতটা পারতাম, সে সম্পর্কে আমি নিজেও সন্দিহান!

একটা সিক্রেট বলে দিই। খুব সম্ভবত বিসিএস প্রিলির জন্য সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রশ্ন সলভ করেছে—পুরো বাংলাদেশে এ রকম ক্যান্ডিডেটের তালিকা করা হলে আমার নাম প্রথম পাঁচজনের মধ্যেই থাকার কথা। এ কথা কেন বললাম? আমি মনে করি, বিসিএস প্রিলিতে পাস করার জন্য ১০টি রেফারেন্স বই পড়ার চেয়ে এক সেট গাইড বা ডাইজেস্ট বা প্রশ্নব্যাংক পড়া বুদ্ধিমানের কাজ। বিসিএস পরীক্ষা জ্ঞানী হওয়ার পরীক্ষা নয়, মার্কস পাওয়ার পরীক্ষা!

আপনি অন্যদের সমান পরিশ্রম করবেন, কিন্তু অন্যরা যে সময়ে একটা অপ্রয়োজনীয় কিংবা কম প্রয়োজনীয় জিনিস পড়ে, সে সময়ে আপনি একটা প্রয়োজনীয় টপিক দুইবার রিভিশন দিতে পারবেন কিংবা পড়া হয়নি এ রকম একটা প্রয়োজনীয় বিষয় পড়ে ফেলতে পারবেন। হিসাব করে দেখুন, অন্যদের তুলনায় আপনার কাজের পড়া হচ্ছে অন্তত দ্বিগুণ!

যারা বিসিএস পরীক্ষা দেবেন, প্রস্তুতিপর্বে তাঁদের প্রথমেই পরিবর্তনটা আনতে হবে মাইন্ডসেটে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অথচ সেটা ঠিকমতো কাজে লাগছে না। কেন? আপনার প্রস্তুতির ধরন ঠিক নেই। আপনি যা যা পারেন না, তা তা পারা দরকার কি না, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি দরকার হয়, তবে সেসব কিছু কিভাবে পারতে হয়, সেটা নিয়ে ভাবুন। একটা কাগজে লিখে ফেলুন আপনার কোন কোন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

যারা বিসিএস ক্যাডার হতে পারে আর যারা পারে না, তাদের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়। তিন জায়গায় পার্থক্য আছে বলে মনে হয়।

এক. প্রস্তুতি নেওয়ার ধরনে।

দুই. পরীক্ষা দেওয়ার ধরনে।

তিন. ভাগ্যে।

আপনি তৃতীয়টায় বিশ্বাস করেন না? আচ্ছা ঠিক আছে, বিসিএস পরীক্ষা দিন, বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন।

যেকোনো পরীক্ষায় ভালো করার চারটি বুদ্ধি আছে : পরিশ্রম কী নিয়ে করব, পরিশ্রম কেন করব, পরিশ্রম কিভাবে করব এবং এই তিনটি জেনে-বুঝে কঠোর পরিশ্রম করা। বিসিএস দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ভালো করতে বুদ্ধিমত্তা কিংবা মেধার চেয়ে পরিশ্রমের মূল্য বহু গুণে বেশি। বুদ্ধিমত্তা বড়জোর আপনি কিভাবে ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন, সেটা ঠিক করে দিতে পারে। কিন্তু আসল কাজটাই হলো পরিশ্রমের।

প্রতিটি পরীক্ষায়ই কিছু কিছু দিক থাকে, যেগুলো নিয়ে কেউ-ই আগে থেকে কিছু বলতে পারে না। ওই ব্যাপারগুলো যে যত সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবে, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। আপনাকে কোনো বিষয়েই অনেক পণ্ডিত হতে হবে না। যেটা করতে হবে সেটা হলো, সব বিষয়েরই বিভিন্ন বেসিক ভালোভাবে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে যত বেশি জেনে নিতে পারবে, প্রতিযোগিতায় সে তত বেশি এগিয়ে থাকবে।

প্রতিদিনই পড়তে বসুন। দু-একদিন পড়া বাদ যেতে পারে, সেটাকে পরের দিন বেশি পড়ে পুষিয়ে নিন। বিসিএস পরীক্ষা মৌসুমি পড়ুয়াদের জন্য নয়। পড়ার সময় অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দিয়ে পড়বেন। কোন কোন বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয়? এটা বোঝার জন্য অনেক অনেক বেশি করে প্রশ্নের ধরন নিয়ে পড়াশোনা করুন। বিসিএস পরীক্ষা বেশি জানার পরীক্ষা নয়; বরং যা দরকার তা জানার পরীক্ষা। সব কিছু পড়লে পণ্ডিত হবেন, বুঝেশুনে পড়লে ক্যাডার হবেন। পছন্দ আপনার!

প্রচুর প্রচুর প্রশ্ন পড়ুন। গাইড বইয়ে, প্রশ্নব্যাংকে, মডেল টেস্টের গাইডে, যেখানেই প্রশ্ন পান না কেন। দশম থেকে ৩৫তম বিসিএস, দুই-তিনটা জব সল্যুশন কিনে পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নগুলো (সম্ভব হলে, অন্তত ২৫০-৩০০ সেট) বুঝে বুঝে সলভ করে ফেলুন। দাগিয়ে দাগিয়ে রিভিশন দেবেন অন্তত দুই-তিনবার। চারটি নতুন রেফারেন্স বই পড়ার চেয়েও দুটি গাইড বই রিভিশন দেওয়া অনেক বেশি কাজের।

আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন কত সময় পড়াশোনা করবেন, সেটা ঠিক করে নিন। আমি প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করার সময় বেঁধে নিয়েছিলাম এবং যত দিন বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম, এই ১৫ ঘণ্টার নিয়মটি খুব স্ট্রিক্টলি ফলো করতাম। অসুস্থ হয়ে না পড়লে কমানো যাবে না—এটাই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। এতে আমার যে লাভটি হয়েছে, শেষ মুহৃর্তের বাড়তি চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি।

কোচিং সেন্টারের বিষয়ে আমার পরামর্শ হলো, কোচিং সেন্টারে যাওয়া যাবে যদি আপনি ওদের সব কথাকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস না করেন। আপনাকেই ঠিক করতে হবে, আপনার কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। গ্রুপ স্টাডি করা কতটুকু দরকার? এটা আপনার অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। আমার নিজের এই অভ্যাস ছিল না। প্রথমবারের বিসিএস হয় না? কে বলেছে? আমি প্রথমবারে ক্যাডার হয়েছি। এ রকম অসংখ্য নজির আছে। পদ্ধতিগতভাবে পড়াশোনা করে যান, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, জয় আপনার হবেই হবে! এবার আসি বাংলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে।



কোথা থেকে পড়বেন?

ভাষা : আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+জব সলিউশন+নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বই+হায়াৎ মামুদের ভাষা-শিক্ষা+গাইড বই।

সাহিত্য : আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন+জব সলিউশন+সৌমিত্র শেখরের সাহিত্য জিজ্ঞাসা+হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি+মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস+গাইড বই।



কিভাবে পড়বেন

নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র বইয়ের লেখক পরিচিতি অংশটি দেখে নিন। লাল-নীল দীপাবলি, জিজ্ঞাসা, মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বিগত বিসিএসের বাংলা সাহিত্যের প্রশ্নাবলি ভালোভাবে পড়ে নিন। মুখস্থ নয়, বারবার পড়ুন, এতে মনে থাকবে বেশি।

বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, হায়াৎ মামুদের ‘ভাষা শিক্ষা’ থেকে সিলেবাসের টপিক ধরে ধরে অধ্যায়গুলো পড়ে নিন। ব্যাকরণের একেবারে কঠিন কাঠখোট্টা প্রশ্নগুলো কষ্ট করে মনে রাখার দরকার নেই। সব কিছু পারার পরীক্ষা বিসিএস নয়। কঠিন প্রশ্নে কোনো বাড়তি মার্কস থাকে না, তাই একটি কঠিন প্রশ্ন শেখার জন্য অনেক বেশি সময় না দিয়ে ওই একই সময়ে ১০টি সহজ প্রশ্ন শিখুন।

আগের বিসিএস প্রিলিমিনারি আর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন স্টাডি করে কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, কোন ধরনের প্রশ্ন আসে না, সে সম্পর্কে ভালো ধারণা নিন। খুবই ভালো হয়, যদি সাহিত্য অংশটি পড়ার সময় লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলা যায়। কারণ এর জন্য বাড়তি কোনো কষ্ট করতে হবে না। পরীক্ষার হলে কিছু প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই পারবেন না—এটা মাথায় রেখে সাহিত্য অংশের প্রস্তুতি নিন, দেখবেন পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আগামী পর্বে আরো একটি বিষয় নিয়ে হাজির হব। সে পর্যন্ত পড়তে থাকুন। গুড লাক!

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ছাত্রজীবনে ’ফেইল’ মানে কি সব শেষ ?


শিরোনামে করা প্রশ্নটার সবচেয়ে সহজ উত্তর হচ্ছে ‘না’ এবং এই উত্তরটা দেয়া যতটা সহজ, কোনো কিছুতে ফেইল করার পর এই সহজ উত্তরটা মেনে নেয়া তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কোথাও ব্যর্থ হওয়ার পর এরকম সান্ত্বনামূলক বাণী যদিও বা কোনো কাজে লাগে না কিন্তু আদতেই ছাত্রজীবনে একবার দুইবার ফেইলুরের সম্মুখীন হওয়া যেমন ধর, কোনো পরীক্ষায় পাশ মার্ক তুলতে না পারা, কোনো ক্লাসে প্রমোশোন না পাওয়া কিংবা পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে না পারা কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে অনেক বড় ব্যর্থতা মনে হলেও তোমার জীবনে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলবে না। হঠাৎ করে নিজের চোখের সামনে নিজের ব্যর্থতাকে দেখলে যেহেতু সান্ত্বনা সেই আঘাতকে প্রশমিত করতে পারে না তাই আমি সান্ত্বনা দিব না বরং ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য তোমার যে পাঁচটি জিনিস করা উচিৎ হবে ‘না’ তা-ই বলব।

১। কোনোভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না।

আমি যদি একজন ভাষাবিদ হতাম তবে হয়ত Tension এবং Depression এই শব্দ দুটিকে পরিত্যাজ্য শব্দ হিসেবে ঘোষণা করতাম। তুমি নিজেই চিন্তা কর, ডিপ্রেসড হয়ে কি কোনো লাভ হয়? সিকি পরিমাণ লাভও কি হয়? না হয় না। বরং ডিপ্রেসড হলে কিংবা কোনো কিছু নিয়ে গভীরভাবে টেনশনে পড়ে গেলে পরবর্তীতে সফল হবার সম্ভাবনাটাও কমে যায় কারণ এই দুইটা জিনিষ আমাদেরকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা, কোথাও ব্যর্থ হবার পর ডিপ্রেসড হয়ে গেলে সেই ডিপ্রেসনটা আস্তে আস্তে তোমার জীবনের এ পর্যন্ত করা সবধরণের ভুল গুলোকে মনে করিয়ে দিবে আর তাতে তোমার নিজেকে এত তুচ্ছ মনে হবে যে তুমি সেই ব্যর্থতা থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না। মনে রাখবে, “The present changes the past. Looking back you do not find what you left behind.” Kiran Desai । এজন্যই অযথা ডিপ্রেশনে না ভুগে বর্তমানটাকে ভাল করার চেষ্টা করলে পুরোনো ব্যর্থতা তোমার বর্তমানের তুলনায় তুচ্ছ হয়ে যাবে।

২। সফল হবার আগ পর্যন্ত ব্যর্থতার গল্প কাউকে বলবে না।

এই যুগে আমাদের একটা বড় অভ্যাস হচ্ছে, আমাদের সাথে যা-ই হোক না কেন, তা আমরা চট করে সোশিয়াল সাইটে শেয়ার করে ফেলি। আচ্ছা, ঐ ভার্চুয়াল জগৎটার কতজন বাসিন্দা আসলেই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী? বেশিরভাগ মানুষ না, অন্যের ব্যর্থতার গল্প শুনে ব্যথিত হবার থেকে তা উপভোগ বেশি করে। এমনকি, অনেক বেশি বিশ্বাসী কেউ ছাড়া বাকিরা দেখবে এমন অনেক পরামর্শ দেয়া শুরু করবে যা তোমার নিজে কাছেও ভাল লাগবে না।
   ডিপ্রেসড হলে কিংবা কোনো কিছু নিয়ে গভীরভাবে টেনশনে পড়ে গেলে        পরবর্তীতে সফল হবার সম্ভাবনাটাও কমে যায়
অনেক সময় তুমি নিজে তোমার ব্যর্থতার কথা ভুলে গেলেও মানুষ তোমাকে ভুলতে দিবে না। আর মানুষ সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া কিন্তু আর কিচ্ছু করতে পারবেনা, এমন সময় তোমার সবচেয়ে বড় হেল্পিং হ্যান্ড হবে তুমি নিজেই। সফল মানুষরা নাকি নিজেদের সফলতার গল্প অন্যের কাছে বলে না… এটাই নাকি তাদের সফল হবার মন্ত্র। সেরকম, ব্যর্থতার গল্প কাউকে না বলাও কিন্তু ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠার মন্ত্র।

৩।“আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না”এমন চিন্তা মাথায়ও আনবে না।

জানো কোনদিনটা তুমি পরিপূর্ণরূপে নিজেকে ব্যর্থ হিসেবে ঘোষনা করতে পারবে? যেদিন তুমি মনে করবে যে “আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না” সেদিন থেকে আসলেও তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না কারণ সফল হবার মত মনোবলই যদি না থাকে তাহলে সফলতা আসবে কিভাবে? তাই সবসময়ই নিজেকে অনেক মূল্যবান মনে করবে, হুম হয়ত এবার সফলতা আসে নি কিন্তু এর মানে এই না যে তুমি ইউজলেস, রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে পা পিছলাতেই পারে কিন্তু এর মানে এই না যে তোমার সামনের দিকে যাবার ক্ষমতা নেই এই ভেবে তুমি উঠে দাঁড়াবে না।
happyinfographic৪। কখনো স্বপ্ন দেখা আর পরিশ্রম করা ছাড়বে না।
সাময়িক ব্যর্থতা আসতেই পারে, এর মানে এই না যে তুমি তোমার স্বপ্নকে শেষ করে দিবে। একভাবে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে অন্যভাবে করবে। হুম, অনেক সময় ব্যর্থতা এমন হয় যে এর ফলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আর সম্ভব হয়না। কিন্তু একটা রাস্তা যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রকৃতি নিজেই অন্য আরেকটা রাস্তা খুলে দেয়।Forrest Gump ছবিটাতে একটা ডায়ালগ আছে, “Life was like a box of chocolates, you never know what you’re gonna get.” বাস্তবেই কিন্তু তুমি জান না যে জীবনে সামনের দিকে তোমার জন্য কি রাখা আছে। তাই তোমার কাজ হবে লক্ষ্য ঠিক রেখে নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া।

৫।নিজের উপর রাগ করে তা অন্যের কিংবা নিজের উপর ঝাড়বে

না।


মানুষের একটা খুবই সাধারণ স্বভাব হচ্ছে কোনো কিছুতে ব্যর্থ হলে নিজের উপর রেগে গিয়ে Self Harm করে আর তা না পারলে অনেক কাছের মানুষদের উপর রাগ ঝাড়ে। মনে রাখবে একটা ভাঙ্গা গ্লাস জোড়া দিলেও কিন্তু দাগ থেকে যায়। এই যে, ছাত্র জীবনের ব্যর্থতাগুলো, এগুলো সময়ের সাথে সাথে দেখবে আর তোমাকে তাড়া করছে না কিন্তু এরজন্য কাছের মানুষগুলোর সাথে যে দুর্ব্যবহার করলে তার জন্য অনুশোচনা কিংবা নিজের হাতে যে আঁচড়গুলো দিলে সেই দাগগুলো কিন্তু সাময়িক না। মনে রাখবে, সময় বদলাবে, জীবন বদলাবে কিন্তু কাছের মানুষগুলোই কিন্তু শেষ পর্যন্ত তোমার সাথে থেকে যাবে।
ব্যর্থতা নিয়ে আমাদের মাঝে সবচেয়ে প্রচলিত উক্তিটি হচ্ছে, “Failure is the pillar of success”  ব্যর্থতা আর সফলতার মাঝে কিন্তু ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান। অপ্রাহ উইনফ্রে, স্টিভেন স্পিলবার্গ, থমাস আলভা এডিসন, আলবার্ট আইন্সটাইন, আব্রাহাম লিঙ্কন, এলভিস প্রিসলি, বিল গেটস, আমাদের সবার প্রিয় ওয়াল্ট ডিজনি ও জে.কে রাওলিং এছাড়াও আরো অনেক সফল মানুষ কিন্তু পদে পদে ব্যর্থ হয়ে এই পর্যন্ত এসেছেন আর এদের ব্যর্থতাগুলোর সামনে কিন্তু ছাত্রজীবনের এই ব্যর্থতাগুলো কিছুই না! আচ্ছা, এমন কোনো বিখ্যাত মানুষ কি আছেন যিনি একবারও ব্যর্থ না হয়েই বিখ্যাত হয়েছেন? অবশ্যই না! তো এরা যদি পারে তবে তুমি পারবে না কেন? আর সবশেষে এই বলব যে, জীবনে সবকিছু পজিটিভলি নেয়ার চেষ্টা করবে। আজকে তুমি ব্যর্থ হয়েছো, এর মানে নিশ্চয়ই তোমার সামনে ভাল কিছু রয়েছে, হয়ত এই ব্যর্থতাই তোমার জন্য ‘শাপে বর’। আর নিজেকে কখনো আন্ডারেস্টিমেট করবে না এবং কাউকে করার সুযোগও দিবে না… কেউ যদি কখনো করেও ফেলে, তখন মনে মনে কামিনী রায়ের কবিতা আওড়াবে,
করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,-
পাছে লোকে কিছু বলে।