শিরোনামে করা প্রশ্নটার সবচেয়ে সহজ উত্তর হচ্ছে ‘না’ এবং এই উত্তরটা দেয়া যতটা সহজ, কোনো কিছুতে ফেইল করার পর এই সহজ উত্তরটা মেনে নেয়া তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কোথাও ব্যর্থ হওয়ার পর এরকম সান্ত্বনামূলক বাণী যদিও বা কোনো কাজে লাগে না কিন্তু আদতেই ছাত্রজীবনে একবার দুইবার ফেইলুরের সম্মুখীন হওয়া যেমন ধর, কোনো পরীক্ষায় পাশ মার্ক তুলতে না পারা, কোনো ক্লাসে প্রমোশোন না পাওয়া কিংবা পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে না পারা কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে অনেক বড় ব্যর্থতা মনে হলেও তোমার জীবনে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলবে না। হঠাৎ করে নিজের চোখের সামনে নিজের ব্যর্থতাকে দেখলে যেহেতু সান্ত্বনা সেই আঘাতকে প্রশমিত করতে পারে না তাই আমি সান্ত্বনা দিব না বরং ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠার জন্য তোমার যে পাঁচটি জিনিস করা উচিৎ হবে ‘না’ তা-ই বলব।
১। কোনোভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না।
২। সফল হবার আগ পর্যন্ত ব্যর্থতার গল্প কাউকে বলবে না।

৩।“আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না”এমন চিন্তা মাথায়ও আনবে না।

৪। কখনো স্বপ্ন দেখা আর পরিশ্রম করা ছাড়বে না।৫।নিজের উপর রাগ করে তা অন্যের কিংবা নিজের উপর ঝাড়বে
না।

ব্যর্থতা নিয়ে আমাদের মাঝে সবচেয়ে প্রচলিত উক্তিটি হচ্ছে, “Failure is the pillar of success” ব্যর্থতা আর সফলতার মাঝে কিন্তু ধনাত্মক সম্পর্ক বিদ্যমান। অপ্রাহ উইনফ্রে, স্টিভেন স্পিলবার্গ, থমাস আলভা এডিসন, আলবার্ট আইন্সটাইন, আব্রাহাম লিঙ্কন, এলভিস প্রিসলি, বিল গেটস, আমাদের সবার প্রিয় ওয়াল্ট ডিজনি ও জে.কে রাওলিং এছাড়াও আরো অনেক সফল মানুষ কিন্তু পদে পদে ব্যর্থ হয়ে এই পর্যন্ত এসেছেন আর এদের ব্যর্থতাগুলোর সামনে কিন্তু ছাত্রজীবনের এই ব্যর্থতাগুলো কিছুই না! আচ্ছা, এমন কোনো বিখ্যাত মানুষ কি আছেন যিনি একবারও ব্যর্থ না হয়েই বিখ্যাত হয়েছেন? অবশ্যই না! তো এরা যদি পারে তবে তুমি পারবে না কেন? আর সবশেষে এই বলব যে, জীবনে সবকিছু পজিটিভলি নেয়ার চেষ্টা করবে। আজকে তুমি ব্যর্থ হয়েছো, এর মানে নিশ্চয়ই তোমার সামনে ভাল কিছু রয়েছে, হয়ত এই ব্যর্থতাই তোমার জন্য ‘শাপে বর’। আর নিজেকে কখনো আন্ডারেস্টিমেট করবে না এবং কাউকে করার সুযোগও দিবে না… কেউ যদি কখনো করেও ফেলে, তখন মনে মনে কামিনী রায়ের কবিতা আওড়াবে,সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,-
পাছে লোকে কিছু বলে।















